বিকৃত যৌন রুচি সম্পন্ন একজন সঙ্গীর চাইতে অশান্তির আর কিছুই হতে পারে না জীবনে । একজন ভুক্তভোগী নারীই শুধু মাত্র জানে...
বিকৃত
যৌন রুচি সম্পন্ন একজন
সঙ্গীর চাইতে অশান্তির আর
কিছুই হতে পারে না
জীবনে। একজন
ভুক্তভোগী নারীই শুধু মাত্র
জানেন একজন বিকৃত রুচির
স্বামী বা প্রেমিকের সংস্পর্শ
কি ভয়ানক হতে পারে। শুধু
তাই নয়, আজকাল ভয়ানক
হারে বাড়ছে ধর্ষণ, শিশুকে
যৌন হয়রানি, এমনকি শিশু নির্যাতনের
ঘটনাও। এবং
আমাদের আশেপাশের একান্ত পরিচিত মানুষ
গুলোই করছে এসব কাজ। নিজেকে
নিরাপদ রাখতে কিংবা নিজের
সন্তান ও আপনজনদের নিরাপত্তার
খাতিরে হলেও বিকৃত রুচির
পুরুষদেরকে চিনে রাখা এবং
তাদের থেকে পর্যাপ্ত দূরত্ব
রক্ষা করা একান্ত জরুরি
একটি বিষয়। আসুন,
চিনে নেয়া যাক কয়েকটি
লক্ষণ।
পর্ণ
গ্রাফির প্রতি আসক্তি:
সত্যি
কথা বলতে কি কমবেশি
প্রত্যেক ছেলেই পর্ণ গ্রাফির
প্রতি আসক্ত। এই
ব্যাপারটি যদিও সুস্থ রুচির
পরিচায়ক নয়, তবু আজকালকার
জীবনে কমবেশি সব নারীই
ব্যাপারটি মেনে নিয়ে থাকেন
স্বামী বা প্রেমিকের ক্ষেত্রে। বিষয়টি
চিন্তার হয়ে দাঁড়ায় তখনই,
যখন ব্যাপারটা আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়।
পর্ণ
গ্রাফির প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি,
সেখানে দেখানো নকল ব্যাপার
গুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ
করতে চাওয়া, পর্ণ গ্রাফি
কালেকশন ইত্যাদি ব্যাপার গুলো যদি নিজের
একান্ত পুরুষ বা বন্ধুদের
কারো মাঝে দেখেন তো
তাকে এড়িয়ে যাওয়াই সবচাইতে
নিরাপদ।
এ
ধরণের পুরুষদের কাছে পৃথিবীর সকল
নারীই পণ্য, এটা সব
সময় মাথায় রাখবেন।
একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন
যে আজকাল প্রচুর পুরুষ
পর্ণ স্টার সানি লিওনের
ফ্যান। এবং
সেটা তারা গর্বের সাথে
প্রকাশও করে থাকেন।
একজন পর্ণ স্টারের ফ্যান
হওয়া অবশ্যই বিকৃত যৌন
রুচির পরিচায়ক। এ
ধরণের পুরুষেরা সারাক্ষণ একটা ফ্যান্টাসির ভেতরে
থাকে ও বাস্তবের নারীদেরকে
পর্ণ স্টারদের সাথে মিলিয়ে ফেলে। এদের
দ্বারা সাধারণ নারীদের বিপদের
সমূহ সম্ভাবনা।
কাজের
মেয়েদের প্রতি আসক্তি:
শুধু
বর্তমানে নয়, অতীতেও পুরুষের
মাঝে এই ব্যাপারটি ছিল। অনেক
নারীই জানেন কাজের মেয়ের
সাথে স্বামীর যৌন সম্পর্কের কথা। কিন্তু
নিরুপায় হয়ে চুপচাপ সহ্য
করে যান। একটা
জিনিস মনে রাখবেন, যৌন
চাহিদা মেটাতে যে বাড়ির
কাজের মেয়েটির দিকে অনৈতিক ভাবে
হাত বাড়ায়, সে অবশ্যই
একজন বিকৃত রুচির মানুষ। শুধু
কাজের মেয়ে কেন, কোনো
আত্মীয়া মেয়ে এমনকি নিজের
কন্যাও নিরাপদ নয় এমন
পুরুষদের কাছে।
যৌন
কর্মীদের কাছে যাওয়া:
যতই
মানুষ শারীরিক চাহিদা পূরণ বা
অন্যান্য বিষয়ের দোহাই দিক
না কেন, যৌন কর্মীদের
কাছে যাওয়া মানে এই
নির্মম পেশাটাকে আরও উসকে দেয়া। একজন
পরিছন্ন মানসিকতার পুরুষ কখনোই শুধু
দেহের চাহিদা মেটানোর জন্য
যৌন কর্মীর কাছে যাবেন
না। তাই
যৌন কর্মীদের কাছে যাতায়াত আছে
এমন স্বামী, প্রেমিক বা বন্ধুর কাছ
থেকে দূরে থাকাই উত্তম।
শিশুদের
প্রতি আচরণ:
শুনতে
খুব নোংরা শোনালেও এটাই
সত্যি যে বহু পুরুষের
আকর্ষণ থাকে ছোট শিশুদের
প্রতি। ছেলে
ও মেয়ে উভয় ধরণের
শিশুদেরকে দিয়েই তারা যৌন
চাহিদা পূরণ করিয়ে থাকে। এই
ধরণের পুরুষদেরকে চেনার উপায় হচ্ছে
শিশুদের সাথে তাদের আচরণ
লক্ষ্য করা। যদি
দেখেন যে কোলে নেয়ার
বাহানায় শিশুর স্পর্শ কাতর
অঙ্গে সে হাত দিচ্ছে
কিংবা অকারণে বারবার চুমু
খাচ্ছে, এমন পুরুষ থেকে
অবশ্যই শিশুদেরকে দূরে রাখুন ও
নিজেও দূরে থাকুন।
প্রেমের
সময়ে জোর পূর্বক শারীরিক
সম্পর্ক:
অনেক
প্রেমিকই এই কাজটা করে
থাকেন। প্রেমিকার
ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও
বিয়ের পূর্বে মানসিক চাপ
প্রয়োগ করে,এমনকি ক্ষেত্র
বিশেষে শারীরিক জোর খাটিয়েও প্রেমিকার
সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।
এছাড়াও কেবল শারীরিক সম্পর্কের
চাহিদা মেটাতে সম্পর্ক করা,
সারাক্ষণ শুধু যৌনতা বিষয়ে
কথা বলতে চাওয়া, নিরিবিলি
একটু সুযোগ পেলেই আপনার
মতের বিপক্ষে স্পর্শ কাতর অঙ্গে
হাত দেওয়া- ইত্যাদি সবই
একজন বিকৃত যৌন রুচির
পুরুষের পরিচায়ক।